|

ইন্টারনেটে থাকা পৃথিবীর সমস্থ ড্যাটার ওজন একটি স্ট্রবেরির সমান।
এটি একটি মজার এবং বিজ্ঞানসম্মত ধারণা। ইন্টারনেটের “ওজন” হিসাব করার ধারণাটি এসেছে তথ্যের ইলেকট্রনের মাধ্যমে স্থানান্তর থেকে। যদিও তথ্য নিজেই ভরহীন, ইলেকট্রনের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরিত হয়, এবং ইলেকট্রনের ভর খুবই ক্ষুদ্র।
গবেষকরা একটি অনুমান করেছেন যে, যদি আমরা পৃথিবীর সমস্ত ইন্টারনেট ডেটার ভরের হিসাব করি, তাহলে এটি একটি স্ট্রবেরির ওজনের কাছাকাছি হতে পারে। এটি আসলে একটি রূপক বা কৌতুকময় উপমা, যা তথ্য ও প্রযুক্তির জগতে বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। তবে, এটি বাস্তবে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরিমাপ করা বেশ জটিল।
ইন্টারনেটের তথ্যের “ওজন” নির্ধারণ করার ধারণাটি আসলে তাত্ত্বিক এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক কল্পনা, যেখানে ইলেকট্রন ও তাদের ভরের উপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়। এটি মূলত এমনভাবে কাজ করে:
১। ইলেকট্রনের ভূমিকা:
ডেটা ইলেকট্রিক সিগন্যালের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়। এই সিগন্যালগুলো তৈরি হয় ইলেকট্রনের গতি এবং তাদের অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে। যদিও ইলেকট্রনের ভর খুবই ছোট (প্রায় ৯.১ × ১০⁻³১ কিলোগ্রাম), কিন্তু যখন পৃথিবীর সমস্ত ডেটা সঞ্চালিত হয়, তখন প্রচুর ইলেকট্রন এর মধ্যে কাজ করে।
২। ডেটার পরিমাণ অনুমান করা:
গবেষকরা পৃথিবীতে মোট ডেটার পরিমাণ অনুমান করেন। বর্তমানে এটি জেটাবাইট (Zettabyte) স্কেলে রয়েছে (১ জেটাবাইট = ১০²¹ বাইট)।
প্রত্যেকটি বাইটের তথ্য বহনের জন্য ইলেকট্রনের প্রয়োজন হয়। গবেষণায় একটি বাইট ডেটার জন্য গড়ে প্রায় ৮×১০⁸ ইলেকট্রন ব্যবহার হয় বলে ধরা হয়। এই সংখ্যা দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত ডেটার জন্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনের সংখ্যা বের করা যায়।
৩. ইলেকট্রনের মোট ভর হিসাব করা:
মোট ইলেকট্রনের সংখ্যা দিয়ে তাদের সম্মিলিত ভর নির্ধারণ করা হয়। এই ভর খুবই ছোট, কিন্তু বিশাল সংখ্যক ডেটা ও ইলেকট্রনের জন্য এটি যোগ করে একটি সামান্য ওজন তৈরি করে।
৪. ওজনকে রূপক হিসেবে ব্যাখ্যা করা:
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ইন্টারনেটের সমস্ত ডেটার ওজন একটি স্ট্রবেরি (গড়ে ৫০ গ্রাম) ফলের ওজনের সমান হতে পারে। তবে এটি বাস্তব অর্থে একটি মজার ও রূপক ব্যাখ্যা, যা দেখায় কিভাবে ক্ষুদ্র ইলেকট্রনের বিশাল পরিমাণ অবশেষে কিছু ভর তৈরি করতে পারে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়:
এই পদ্ধতি পুরোপুরি তাত্ত্বিক, কারণ বাস্তব জীবনে ডেটার ভর ওজন করার কোনো সরাসরি উপায় নেই। এটি শুধু বিজ্ঞান ও গণনার এক মজাদার প্রয়োগ।