সার্চ ইঞ্জিন ডাকডাকগো যেভাবে কাজ করে

বর্তমান ইন্টারনেট দুনিয়ায় তথ্য খুঁজতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সার্চ ইঞ্জিন। গুগল এখানে রাজত্ব করে আসছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু এর মধ্যেও একটা ব্যতিক্রমী অপশন হিসাবে উঠে এসেছে ডাকডাকগো (DuckDuckGo)। এই সার্চ ইঞ্জিনের মূল উদ্দেশ্যই হল ইউজারের গোপনীয়তার সুরক্ষা।

গ্যাব্রিয়েল ওয়াইনবার্গ ও তার “নেমস ডাটাবেজ”

ডাকডাকগোর পেছনে রয়েছেন গ্যাব্রিয়েল ওয়াইনবার্গ, যিনি একজন আমেরিকান উদ্যোক্তা এবং এমআইটি থেকে পড়াশোনা করা প্রযুক্তিবিদ। ২০০৮ সালে পেনসিলভানিয়ার ভ্যালি ফোর্জে তিনি এই সার্চ ইঞ্জিন চালু করেন।

১৯৭৯ সালে নিউ ইয়র্কে জন্ম ওয়াইনবার্গের। পড়াশোনা করেন পদার্থবিজ্ঞান আর প্রযুক্তি নীতিমালা নিয়ে। তার প্রথম বড় সফলতা আসে “নেমস ডাটাবেজ” নামের এক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট দিয়ে, যেটা তিনি ২০০৬ সালে ১০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছিলেন।

এই অর্থই পরে তার নতুন মিশনের মূলধন হয়—যে মিশনের লক্ষ্য, একটা এমন সার্চ ইঞ্জিন বানানো যেটা তথ্য খুঁজে দেবে ঠিকই, কিন্তু ইউজারের প্রাইভেসি বিক্রি করবে না।

ডাকডাকগো যেভাবে কাজ করে

ডাকডাকগো কাজ করে একধরনের হাইব্রিড মডেল ব্যবহার করে। এটি নিজের বট (‘ডাকডাকবট’) চালায়, যেটা ওয়েবসাইটগুলি স্ক্যান করে তথ্য সংগ্রহ করে। আবার, শুধু নিজের সংগ্রহে না থেকে, বিং (Bing)-এর মত অন্য সার্চ ইঞ্জিনের এপিআই (API) থেকেও কিছু তথ্য নিয়ে আসে।

এরপর এই সব আলাদা আলাদা সোর্স থেকে পাওয়া তথ্যকে নিজের অ্যালগরিদম দিয়ে সাজায়, কোনটা আগে দেখাবে সেটা ঠিক করে। এতে তাদের সার্ভারের খরচ কমে (কারণ সবকিছু নিজেদের স্ক্যান করে রাখতে হয় না) এবং ইউজাররা দ্রুত আর তুলনামূলক নিরপেক্ষ ফলাফল পায়।

এখানে এপিআই (API) মানে হল—Application Programming Interface—একধরনের মাধ্যম, যার সাহায্যে এক সফটওয়্যার আরেক সফটওয়্যারের ডেটা বা ফিচার ব্যবহার করতে পারে সহজে।

আর অ্যালগরিদম (Algorithm) হচ্ছে—কোনো সমস্যার সমাধানে সাজানো ভাবে ধাপে ধাপে করা নির্দেশনার সেট। যেমন ডাকডাকগোর এই ক্ষেত্রে সার্চ রেজাল্টগুলি কোনটা আগে দেখাবে, সেটা নির্ধারণ করার নিজস্ব পদ্ধতি।

ধরুন, আপনি সার্চ করলেন: “best laptop 2025″। ডাকডাকগো কী করে?

১. তার নিজের বট (ডাকডাকবট) দিয়ে আগে থেকে যে ল্যাপটপের রিভিউ আর লিস্ট ঘেঁটে রেখেছে, সেগুলি থেকে ডেটা নেয়।

২. পাশাপাশি বিং (Bing) সার্চ API দিয়ে নতুন নতুন আপডেটেড ওয়েবসাইটের তথ্যও নিয়ে আসে।

৩. এরপর নিজের অ্যালগরিদম চালায়—যেমন, কোন ল্যাপটপের রিভিউ ভাল, কোন সাইট বেশি নির্ভরযোগ্য, কোন তথ্য আপডেটেড—এসব বিশ্লেষণ করে কোন লিংকগুলি আগে দেখাবে তা ঠিক করে।

ফলে, আপনি পাবেন দ্রুত, বিশুদ্ধ এবং তুলনামূলক নিরপেক্ষ একটা রেজাল্ট। এক কথায়, ডাকডাকগো নিজের তথ্য ব্যবহার করে, অন্যের তথ্যও ধার নেয়, তারপর বুদ্ধিমত সাজিয়ে ফলাফল প্রকাশ করে।

ইনস্ট্যান্ট আন্সার

ডাকডাকগোর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচারগুলির একটি হল “ইনস্ট্যান্ট আন্সার”—আপনি যদি সরাসরি কোনো প্রশ্ন করেন, সেটা বিশ্লেষণ করে এক কথার (কখনও ১টি মাত্র শব্দে) নির্ভুল উত্তর স্ক্রিনে দেখায়, বাড়তি কথা থাকে না।

যেমন আপনি যদি লেখেন “২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর রাত ৮টায় কুড়িগ্রাম শহরের তাপমাত্রা কত ছিল”—সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেখাবে—‘১৮°C’। এই ফিচার ওয়াইনবার্গের ভাবনার প্রতিফলন—তথ্য খোঁজার সময় যেন মানুষ সরাসরি উত্তর পায়।

এখানে ১০ হাজারেরও বেশি “গুডিজ” বা ইনস্ট্যান্ট ফাংশন আছে, যেগুলি কমিউনিটির সদস্যরাই তৈরি করেছেন। ইনস্ট্যান্ট আন্সারের ‘গুডিজ’ ফিচারটি এর একটি চমৎকার উদাহরণ, যেখানে অনেক ফাংশন কমিউনিটির সদস্যদের দ্বারা তৈরি এবং এটি ওপেন সোর্স নীতির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়।

ব্যাংস

ডাকডাকগোতে “ব্যাংস” (Bangs) নামে একটা ফিচার আছে। এর মাধ্যমে আপনি সরাসরি নির্দিষ্ট কোনো ওয়েবসাইটের ভেতর সার্চ করতে পারেন, মূল সার্চ ইঞ্জিন ঘুরে না গিয়ে।

যেমন ধরুন, আপনি বিক্রয় ডট কমে (bikroy) কোনো ফ্রিজ খুঁজছেন। তখন আপনি ডাকডাকগো সার্চ বক্সে লিখবেন: !bikroy ফ্রিজ। দেখবেন, সরাসরি বিক্রয় ডট কম ওয়েবসাইট খুলবে এবং “ফ্রিজ” লিখে সার্চ করা ফলাফল আপনাকে দেখাবে। মানে, আলাদা করে বিক্রয় ডট কমে ঢুকে আবার ফ্রিজ লিখে খুঁজতে হবে না—এক লাইনে কাজ শেষ!

সংক্ষেপে: Bangs দিয়ে সময় বাঁচে, ক্লিক কমে, খোঁজাটাও হয় নির্দিষ্ট জায়গায়।

ডাকডাকগো নিজে যখন ব্যাংস ফিচার ব্যবহার করায়, তখন আসলে সেই সার্চের ফলাফল ডাকডাকগোর নয়, বরং সরাসরি ওই ওয়েবসাইটেরই হয়। মানে, ধরুন আপনি !youtube গান লিখলেন। ডাকডাকগো আপনাকে সরাসরি ইউটিউব-এর সার্চ রেজাল্টে পাঠিয়ে দেবে, নিজে কোনো ডেটা সংরক্ষণ বা র‍্যাংকিং করবে না।

কীভাবে ব্যাংস বানানো হয়

ডাকডাকগো নিজেই বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাংস তৈরি করে। তারা একটা ছোট্ট কমান্ড সেট করে দেয় (যেমন !w উইকিপিডিয়ার জন্য, !yt ইউটিউবের জন্য)।

এমনকি আপনি চাইলে নিজেরও সাজানো ব্যাংস রিকোয়েস্ট করতে পারেন। ডাকডাকগো একটা ফর্ম দেয়, সেখানে আপনার প্রস্তাব দিলে তারা রিভিউ করে নতুন ব্যাংস যোগ করতে পারে।

এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩,০০০-এর বেশি ব্যাংস রয়েছে! মানে, নিউজ সাইট থেকে শুরু করে, সোশ্যাল মিডিয়া, শপিং সাইট, স্টাডি রিসোর্স, এমনকি বাংলা সাইটের জন্যও আলাদা ব্যাংস আছে।

এর দারুণ সুবিধা হল: খুব দ্রুত নির্দিষ্ট সাইটে পৌঁছানো যায়। সার্চ আরও নির্ভুল হয়। প্রাইভেসি থাকে, কারণ ডাকডাকগো নিজে সার্চ করে না।

ব্যাংসের কয়েকটি উদাহরণ

!wiki নজরুল—উইকিপিডিয়ায় “নজরুল” সম্পর্কিত পেজ দেখাবে।

!translate স্বাধীনতা—গুগল ট্রান্সলেট খুলবে “স্বাধীনতা” শব্দ নিয়ে কাজ করার জন্য।

!googlemaps ঢাকা রেস্টুরেন্ট—গুগল ম্যাপসে “ঢাকা রেস্টুরেন্ট” সার্চ করবে।

!unsplash নদী—Unsplash-এ “নদী” বিষয়ক সুন্দর ফ্রি ছবি খুঁজবে।

!pexels tesla model 3—Pexels-এ “Tesla Model 3” গাড়ির ছবি দেখাবে।

!scholar climate change—গুগল স্কলার থেকে “climate change” বিষয়ক গবেষণাপত্র খুঁজবে।

!ytbdsong জেমস—বাংলা ডেডিকেটেড YouTube সংগীত Bang দিয়ে “জেমস” সার্চ করবে।

!worldbank Bangladesh GDP growth—ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে বাংলাদেশের “GDP Growth” সংক্রান্ত রিপোর্ট খুঁজবে।

Bangs-এর পরে আপনি বাংলায় বা ইংরেজিতে লিখতে পারেন—উভয়ই ঠিকমত কাজ করে। যদি Bangs-এর পর কোনো শব্দ না দেন, Bang শুধু ওয়েবসাইট খুলে দেবে।

প্রাইভেসি মডেল

ডাকডাকগোর প্রাইভেসি মডেল গড়ে উঠেছে তিনটি মূল দিক ধরে।

এক: ইউজারকে ট্র্যাক করা হয় না—মানে কেউ সার্চ করলেই তার আইপি অ্যাড্রেস বা ব্যক্তিগত তথ্য জমা হয় না। তুলনামূলকভাবে, গুগল ক্রোম বা মাইক্রোসফট এজ এইসব তথ্য সংগ্রহ করে।

দুই: এনক্রিপশন ও ট্র্যাকার ব্লকিং—ডাকডাকগো ব্রাউজারে বিল্ট-ইন ট্র্যাকার ব্লকার থাকে, আর সবকিছু HTTPS এনক্রিপশনের ভেতর দিয়ে চালায়।

তিন: নিরপেক্ষ ফলাফল—এখানে আপনি যা সার্চ করবেন, শুধু সেই শব্দের ওপর ভিত্তি করে অ্যাড দেখানো হবে। আপনি কে, কোথা থেকে, আগে কী খুঁজেছেন—সেসব দেখে আপনাকে অ্যাড দেখানো হবে না।

ডাকডাকগো মূলত সার্চের সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করে। তবে এটি ইউজারের সার্চ হিস্ট্রি বা ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং শুধুমাত্র সার্চ করা শব্দটির ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপন দেখায়।

এছাড়া, কিছু ই-কমার্স সাইটের (যেমন Amazon, eBay) সাথে অ্যাফিলিয়েট পার্টনারশিপ থেকেও তারা আয় করে থাকে। যেখানে ইউজার তাদের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে তারা একটি ছোট কমিশন পায়, কিন্তু ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে না।

যেভাবে শুরু

যদিও শুরুটা হয়েছিল একটা ছোট্ট বেসমেন্টে, ডাকডাকগো ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। ২০১১ সালে ইউনিয়ন স্কয়ার ভেঞ্চার থেকে তিন মিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট পায়। ২০১২ সালে এর দৈনিক সার্চ সংখ্যা পৌঁছায় দেড় মিলিয়নে। এরপর ২০১৮ সালে সেটা বেড়ে হয় ৩০ মিলিয়ন। আর ২০২১ সালে ১০০ মিলিয়ন ডলারের নতুন ইনভেস্টমেন্ট পায় প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ সালে এটি দিনে ১০০ মিলিয়নের বেশি সার্চ পার করে লাভের মুখ দেখে।

২০২৪ সালে ডাকডাকগো “প্রাইভেসি প্রো” নামে একটা সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস চালু করে। এর ভেতরে থাকে VPN, ইমেইল প্রটেকশন, অ্যাপ ট্র্যাকার ব্লকিং আর ডেটা লিক চেক করার মত গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এতে করে শুধু সার্চই না, ইন্টারনেট ইউজের পুরো অভিজ্ঞতা প্রাইভেট রাখতে সাহায্য করে এই সার্ভিস।

মোবাইল অ্যাপের পাশাপাশি ডাকডাকগো ম্যাক এবং উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য ডেস্কটপ ব্রাউজারও তৈরি করেছে। এই ব্রাউজারেও প্রাইভেসি সুরক্ষা, ট্র্যাকার ব্লকিংয়ের মত ফিচারগুলি বিল্ট-ইন থাকে।

বিতর্ক

ডাকডাকগো সম্পূর্ণ বিতর্কমুক্ত নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম থেকে ছড়ানো ভুল তথ্য যুক্ত সাইটগুলির র‍্যাংক কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ডাকডাকগো তখন জানায়, তারা প্রাসঙ্গিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য দেখানোর চেষ্টা করছে মাত্র।

প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ ইঞ্জিন

গুগল বা বিং-এর মত বড় ডেটা-সংগ্রাহক সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও, ডাকডাকগোর কিছু প্রাইভেসি-ভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে। যেমন:

Brave Search: তারা নিজেদের আলাদা ইন্ডেক্স তৈরি করছে, মানে অন্য সার্চ ইঞ্জিনের ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই ওয়েবের তথ্য সংগ্রহ করে। এতে করে ইউজারের অনুসন্ধান আরও ব্যক্তিগত ও স্বাধীন থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ব্রেভ ব্রাউজার ব্যবহার করলে সরাসরি Brave Search-এর মাধ্যমে প্রাইভেসি-প্রটেক্টেড সার্চ করা যায়।

Startpage: এটি গুগলের সার্চ রেজাল্ট ব্যবহার করে, তবে নিজে ইউজারের IP ঠিকানা, লোকেশন বা সার্চ হিস্ট্রি রেকর্ড করে না। ফলে, গুগলের শক্তিশালী রেজাল্ট পাওয়া যায়, কিন্তু নিজের পরিচয় গোপন থাকে। অনেকে এটিকে “private Google” বলে।

Qwant: ইউরোপীয় ইউনিয়নের কড়া প্রাইভেসি নিয়ম মেনে চলে। তারা কোনো ধরনের ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরি করে না এবং সরাসরি নিরপেক্ষ সার্চ রেজাল্ট দেখায়। বিশেষ করে ফ্রান্স এবং জার্মানিতে Qwant খুব জনপ্রিয় হয়েছে।

এদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এবং ইউজারদের আলাদা আলাদা চাহিদার জন্য বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্য কিছু দিক

ইন্টিগ্রেটেড টুলসের দিক থেকেও ডাকডাকগো এগিয়ে। যেমন:

Safari ব্রাউজার কিছু প্রাইভেসি ফিচার দেয়—যেমন Intelligent Tracking Prevention, যা থার্ড-পার্টি কুকি ব্লক করে। তবে এগুলি অনেক সময় সীমিত পরিসরের।

অপরদিকে, ডাকডাকগোর মোবাইল অ্যাপে একটা বিশেষ ফিচার আছে, যাকে বলে “ফায়ার বাটন”। এটি এক ক্লিকে পুরো ব্রাউজিং হিস্ট্রি, ওপেন ট্যাব, কুকি, ক্যাশ—সব মুছে দেয়। ধরুন আপনি কোনো সংবেদনশীল বিষয় দেখছিলেন, এক ক্লিকে Fire Button চাপলেই এমনভাবে পরিষ্কার হবে, যেন কিছুই খোঁজা হয়নি!

এছাড়া, ডাকডাকগো অ্যাপে Global Privacy Control (GPC) নামে আরেকটা অপশন থাকে, যেটা বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে নিজে থেকেই বলে দেয়: “এই ইউজারের ডেটা ট্র্যাক বা শেয়ার না করতে।”

আর, ডাকডাকগোর ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহার করলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব সাইটের ট্র্যাকার ব্লক হয় এবং গোপনীয়তার স্কোর দেখা যায়—যেমন A, B, C রেটিং দেয়।

ডাকডাকগো হচ্ছে এমন একটা প্রজেক্ট, যেখানে প্রযুক্তি আর আদর্শ একসঙ্গে চলে। গ্যাব্রিয়েল ওয়াইনবার্গ শুধু একটা সার্চ ইঞ্জিন বানাননি—তিনি একটা দৃষ্টিভঙ্গিও গড়ে তুলেছেন, যেখানে তথ্য পাওয়া যাবে ঠিকই, কিন্তু নিজের স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে হবে না।

এই ডেটা-নির্ভর দুনিয়ায় আমরা অনেক সময় না জেনেই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য তুলে দিই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। গোপনীয়তা যেন একপ্রকার মূল্য হয়ে দাঁড়ায় তথ্য পাওয়ার বিনিময়ে। ডাকডাকগো সেই ভাবনায় একটা স্পষ্ট “না” বলে দাঁড়িয়েছে।

ডাকডাকগো আমাদের সামনে একটা বিকল্প পথ দেখায়। আর এই কথাটা মনে করিয়ে দেয়—স্বাধীনতাও একটা ডিজিটাল অধিকার।

#ব্রাউজার #গোপনীয়তা #ডাকডাকগো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *