|
এ অধ্যায়টি লেখার সময় জেমসের ‘প্রথম স্পর্শ’ গানটা খুব মনে পড়ছিল। সত্যিই প্রথম প্রেম, প্রথম স্পর্শ, প্রথম পাইথন প্রোগ্রাম কখনো ভোলা যায় না। যাহোক, আমরা আমাদের প্রথম পাইথন প্রোগ্রাম লিখব। আগের চ্যাপ্টারে তো কোড লেখার জায়গা আমরা পেয়ে গেছি। তো আর অপেক্ষা কেন? চলুন, সবাই মিলে শুরু করা যাক। প্রথমে পাইথন শেল ওপেন করি।
Python 3.9.9 (main, Nov 21 2021, 03:23:44)
[Clang 13.0.0 (clang-1300.0.29.3)] on darwin
Type "help", "copyright", "credits" or "license" for more information.
>>>
একটা জিনিস খেয়াল করেছেন? >>>
এ রকম যে চিহ্নটা দেখছেন, এর পাশেই মূলত এক লাইন-এক লাইন করে কোড লিখতে হবে। প্রতি লাইন কোডকে স্টেটমেন্ট বলে। >>>
চিহ্নটার পাশে print(“I am gonna be a Pythonista.”) লিখে এন্টার চাপলেই ঠিক পরের লাইনেই I am gonna be a Pythonista. আউটপুট পাব।
Python 3.9.9 (main, Nov 21 2021, 03:23:44)
[Clang 13.0.0 (clang-1300.0.29.3)] on darwin
Type "help", "copyright", "credits" or "license" for more information.
>>> print("I am gonna be a Pythonista.")
I am gonna be a Pythonista.
>>>
আমরা এখানে এক লাইনের একটা প্রোগ্রাম লিখেছি। >>>
এর পাশে যে কোড লিখেছি তার নিচের লাইনে আউটপুট পেয়েছি। আউটপুট মানে যে কোড রান করালাম তার ফলাফল। প্রতি লাইন কোডকে স্টেটমেন্ট বলে। আমরা এখন আমাদের স্টেটমেন্টের ময়নাতদন্ত করব।
print("I am gonna be a Pythonist.")
এখানে দুটি অংশ আছে : print()
এবং "I am gonna be a Pythonista."
প্রথম অংশটা হলো ফাংশন। ফাংশনকে আমরা মেশিনের সাথে তুলনা করতে পারি। যেমন ধান ভাঙার মেশিন। এই মেশিনের মধ্যে ধান দিলে চাল বের হয়ে আসে। আর আমাদের এই print()
মেশিন বা ফাংশনের ব্র্যাকেটের মধ্যে কোনো কিছুকে দিলে তা কম্পিউটারের স্ক্রিনে প্রিন্ট হয়। (আংশিক সত্য কথা) ফাংশন নিয়ে আমরা পরে আরও অনেক কথা বলব। শ েষ অংশটা হলো স্ট্রিং। স্ট্রিং কী জিনিস? এক কথায় বলতে গেলে সিঙ্গেল কোট বা ডাবল কোটের ভেতরে যা থাকে, তাকেই স্ট্রিং বলে। স্ট্রিং হলো টেক্সট বা কোনো লেখা। ডেটা টাইপ নিয়ে কথা বলার সময় আমরা স্ট্রিং নিয়েও বিস্তারিত জানব। আপাতত দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।
তো কী বুঝলাম? বুঝলাম print()
ফাংশনের মধ্যে যা দেব তাই স্ক্রিনে প্রিন্ট হবে। আরেকটা প্রোগ্রাম লেখা যাক :
>>> print("My name is Khan and I am not a terrorist.")
My name is Khan and I am not a terrorist.
মজা তা-ই না? আরও কিছু মজার জিনিস শিখি। আমাদের এই পাইথন শেলটা কিন্তু ক্যালকুলেটরের কাজটাও করতে পারে। যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, মডুলাস – এসব টুকটাক কাজ আমরা হরহামেশাই তো করে থাকি। আজ করব পাইথন দিয়ে –
>>> 3+2
5
>>> 10-4
6
>>> 6*7
42
>>> 48/3
16.0
>>> 10%3
1
>>> 5 + (9*3)
32
>>> -13 + 5
-8
আমরা এভাবে অনুশীলন করতে থাকব। জিনিস সামান্য কিন্তু প্রতিনিয়ত কোড লিখতে থাকলে একটা ভালোবাসা আসবে পাইথনের প্রতি। পাশাপাশি হাতের টাইপিং-জড়তাও কমবে।