By: Suhanur Rahman
প্রযুক্তি ফ্যাক্টস- 01
ধরুন, আপনি এমন একটা ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে কখনোই আপনার তথ্য চুরি করা যাবে না। যাকে এক কথায় বলা যায় ‘হ্যাকার—প্রুফ’! কিংবা সাড়ে ৮ হাজার মাইল দূরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আপনার আত্মীয় আপনাকে এক হাজার গিগাবাইটের একটি ভিডিও পাঠাবে। কিন্তু তা সময় নিয়ে ডাউনলোড করতে হবে না, বরং পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনার ডিভাইসে দৃশ্যমান হবে! প্রচলিত ইন্টারনেট ব্যবস্থায় এটাকে অবাস্তব মনে হলেও, এটি সম্ভব কোয়ান্টাম ইন্টারনেটের রাজত্বে।
চিকিৎসকেরা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইলেকট্রনিক স্কিন (ই-স্কিন) বা বৈদ্যুতিক ত্বকের মাধ্যমে শরীর থেকেই জেনে নিতে পারবেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এ প্রযুক্তি সহজলভ্য হতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, ই-স্কিন শরীরে লাগিয়ে রাখা যাবে সহজেই। এতে হৃৎস্পন্দন, ডায়াবেটিসসহ নানা তথ্য দূরে বসেই পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন চিকিৎসকেরা। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন ই-স্কিন নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ইলেকট্রনিক স্কিন এমন একটি উদ্ভাবন যা মানুষের ত্বকের মতো নমনীয়, এবং এটি শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, এমনকি রক্তপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
একবার ভাবুন তো, যদি কখনো মানব ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটে, আর সব কাগজ ধ্বংস হয়ে যায়, সব প্রযুক্তিগুলো নষ্ট হয়ে যায় আর পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত যে হারে তথ্যের পরিমাণ বেড়ে চলেছে, তখন কি এই তথ্যগুলো সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে? — উত্তর লুকিয়ে আছে আপনার দেহের ভিতরে ডিএনএ’র মধ্যে। প্রযুক্তি বিজ্ঞানীদের মতে, ভবিষ্যতের ডেটা স্টোরেজ হতে চলেছে ডিএনএ, যা দিয়ে সংরক্ষণ করা যাবে বর্তমানে প্রচলিত ডিভাইসগুলোর তুলনায় আরও অনেক গুণ বেশি ডেটা। শুধু তা-ই নয়, পুরো পৃথিবীর সব ডেটা ধারণ করা যাবে মাত্র কয়েক গ্রাম ডিএনএ-তে।
তাত্ত্বিকভাবে এক গ্রাম ডিএনএ ২১৫ পেটাবাইট ডেটা স্টোর করতে সক্ষম। আর এক পেটাবাইট = ১০,০০,০০০ গিগাবাইট। অর্থাৎ ১০০ মিলিয়ন এইচডি মুভি সংরক্ষণ করা যাবে একটি পেন্সিল ইরেজারে। আর ২০৪০ সাল নাগাদ প্রচলিত সব ডেটা স্টোরেজ ডিভাইসের ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। ২০১৬ সালের এক তথ্যানুযায়ী সে সময় ইন্টারনেটে মোট পৃথিবীব্যাপী ডেটার পরিমাণ ছিল ১.১ জেটাবাইট। ১ জেটাবাইট = ১×১০^১২ গিগাবাইট। আর ২০২৫ সাল নাগাত তা ১৬৩ জেটাবাইট অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তখনই ডিএনএ স্টোরেজ এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যাবে।